এমপ্যাথি কী এবং কেন আমাদের জীবনে এমপ্যাথির প্রয়োজন

empathy
এমপ্যাথি নিয়ে কথা বলার আগে এমপ্যাথি কী সেটি নিয়ে একটু কথা বলি। এমপ্যাথি ( Empathy )-র বাংলাঅর্থ হলো – সমানুভূতি। সিমপ্যাথি এবং এমপ্যাথির মধ্যে বেশ পার্থ্যক রয়েছে। সিমপ্যাথির বাংলা হচ্ছে – সহানুভূতি আর এমপ্যাথির বাংলা সমানুভূতি।  যদি একটি উদাহরণ দিয়ে বলি তবে আপনাদের বুঝতে বেশ সুবিধা হবে।
যেমন: মনে করেন আপনার কোনো বন্ধুর বাবা মারা গিয়েছে। আপনি তাঁকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন এই বলে – সবার বাবা চিরকাল বেঁচে থাকে না। নামাজ পড়ে বাবার জন্য দোয়া কর ইত্যাদি।  আপনার কি মনে হয় আপনার বন্ধু জানে না – সবার বাবা চিরকাল বেঁচে থাকে না কিংবা কীভাবে বাবার জন্য দোয়া করতে হবে? আপনি নিজেও জানেন এই বিষয়গুলো আপনার বন্ধু জানে। তবুও জাস্ট বলার জন্য বলা। সহানুভূতি দেখানো যাকে বলে আরকি! এখন আপনি কয়েক সেকেন্ডের জন্য ভাবেন ঐটা আপনার বন্ধুর বাবা নয়; আপনার নিজের বাবা মারা গিয়েছেন।
এখন আপনার কেমন অনুভূতি হচ্ছে?

আরো শুনুন:

ভিডিওতে বেশি ভিউ কিংবা পোস্টে বেশি লাইক মানেই কি ভালো কনটেন্ট?

যোগাযোগের ক্ষেত্রে ” I Statements ” কী এবং কেন ব্যবহার করবেন?

এই মুহূর্তে আপনার যেমন অনুভূতি হচ্ছে; ঠিক সেটিই হচ্ছে আপনার বন্ধুর। এখন নিশ্চয় বুঝতে পারবেন এইরকম পরিস্থিতিতে কোন কথাগুলো শুনতে ইচ্ছে করে না এবং কোন কথাগুলো শুনতে ইচ্ছে করে?  অন্যের জায়গাতে নিজেকে বসিয়ে অন্যের পরিস্থিতি অনুভব করাকে এমপ্যাথি বলে। অন্যের অনুভূতিকে নিজের হৃদয় দিয়ে অনুভব করা।  কেন আমাদের জীবনে এমপ্যাথির প্রয়োজন? কেন আমাদের জীবনে এমপ্যাথির প্রয়োজন সেটি ব্যাখ্যা করার আগে – আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি কথা বলি।
আমাদের সকলে জীবনে নানান টানাপোড়ন থাকে। মনে করুন আপনার বিবাহিত সম্পর্কে কিংবা প্রেমের সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে। আপনি ভাবলেন আপনার এই টানাপোড়ন সস্পর্ক নিয়ে আপনার কোনো বন্ধুর সাথে আলোচনা করবেন। আপনি কথা শুরু করতে না করতেই তিনি তাঁর নিজের সম্পর্কের গল্প শুরু করে দিলেন অথবা আপনার পুরো গল্পটা না শুনে তিনি নিজের মতো মতামত দিয়ে দিলেন অথবা যদিও তিনি আপনার পুরো গল্পটা শুনে থাকেন; আপনার অনুভূতি অনুভব না করে তিনি নিজের মতো মতামত দিয়ে দিলেন। আপনার মনের ব্যথা তিনি অনুভবই করতে পারেননি।  এই পরিস্থিতিতে আপনার কেমন লাগবে? নিশ্চয় এখন বুঝতে পেরেছেন কেন আমাদের জীবনে এমপ্যাথির প্রয়োজন।
সকলে ভালো থাকুন। সবার জন্য শুভকামনা।

আরো পড়ুন:

জীবনের কঠিন পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবেলা করবেন

বর্তমানে সম্পর্কগুলো দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে কেন

লেখা: ফারজানা আক্তার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *