কিভাবে Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা বাড়াবেন?

communication_skill

আপনি চাকরি করুন, কিংবা ব্যবসা Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা ছাড়া কোথাও উন্নতি করতে পারবেন না। মৌখিক এবং লিখিত – উভয় ক্ষেত্রেই Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাঁদের যোগাযোগ করার দক্ষতা ভালো তাঁদের জন্য যে কোনো ধরণের চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করা সহজ হয়ে যায়। যোগাযোগ করার দক্ষতা ভালো হলে অন্যকে সহজে প্রভাবিত করা যায়। এইক্ষেত্রে শুধু কর্মজীবন নয়, আপনি আপনার জীবনের সকল ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে উপকৃত হবেন।

তবে এইবার জেনে নিন কিভাবে Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা বাড়াবেন:

 

১। কথা শোনার অভ্যাস করুন:

আপনাকে কিছু বলতে হলে আগে শুনতে হবে। তাই আগে মনোযোগ দিয়ে শুনুন অপরপক্ষ কী বলছে। যদি কোনো কথা বুঝতে না পারেন, তবে প্রশ্ন করুন। আপনার আগ্রহ দেখে বক্তাও খুশি হবে। তাঁর মনে আপনার ব্যাপারে পজিটিভ ধারণার জন্ম হবে। Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা বাড়াতে ভালো শ্রোতা হওয়ার বিকল্প নেই।

২। শারীরিক ভাষা ঠিক রাখুন :

কথা বলার সময় আই কন্ট্যাক্ট অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনি যখন কারো সামনে কথা বলবেন তখন নিজের দাঁড়ানোর ভঙ্গি, হাত নাড়ানোর ধরণ, কথার বলার ধরণ সবকিছু মাথায় রেখে কথা বলবেন। সাইকোলজি বলে অপরিচিত কারো সাথে কথা বলার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে আপনার সম্পর্কে একটা ধারণা করে ফেলেন। আপনি কারো সাথে কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি কথাটি কিভাবে বলছেন সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। যে কারো সাথে কথা বলার সময় বিনয়ী থাকুন।

আরো পড়ুন: কীভাবে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলবেন?

 

৩। যার সাথে কথা বলছেন তাঁর সাইকোলজি বুঝে কথা বলুন:

আমরা সবার সাথে সব কথা শেয়ার করি না। আলোচনাও করি না। যার সাথে কথা বলছেন তাঁর সাইকোলজি আগে বুঝার চেষ্টা করুন। ঠিক কতটুকু কথা তিনি বুঝতে পারবেন কিংবা রিসিভ করতে পারবেন সেটা বুঝে কথা এগিয়ে নিয়ে যান অথবা বন্ধ করে দিন। ভিন্ন মত হলেও অন্যের মতামত গ্রহণ করতে শিখুন।

৪। সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্টভাবে কথা বলুন:

যে টপিকে কথা বলবেন সেটা সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্টভাবে বলবেন। সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে খেয়াল রাখুন মূল আলোচনা যেন বাদ না পড়ে। অপ্রাসঙ্গিক কথা এভোয়েড করতে পারলে শ্রোতা এবং বক্তা দুজনের জন্যই ভালো।

৫। পজেটিভ থাকার চেষ্টা করুন :

যে কোনো আলোচনায় ভিন্নমত পজেটিভলি নেওয়ার চেষ্টা করুন। মুখে আন্তরিক হাসি বজায় রাখুন। যেখানে হাসার প্রয়োজন সেখানে হাসুন। এতে উপস্থিত সকলে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবে।

৬। আঞ্চলিক এবং সংস্কৃতিক জ্ঞান :

Communication skill বা যোগাযোগের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক এবং সংস্কৃতিক জ্ঞান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। একজন দক্ষ যোগাযোগকারীর অবশ্যই এই দুই জ্ঞান থাকা অত্যাবশ্যকীয়। গ্রামে গিয়ে আপনি প্রমিত ভাষায় কিংবা ইংরেজিতে কথা বললে কেউ কিছুই বুঝতে পারবে না। আবার, বাইরের দেশের সংস্কৃতির সাথে আমাদের দেশের সংস্কৃতি মিলবে না। আপনাকে আঞ্চলিকতা এবং সংস্কৃতি বুঝে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

আরো পড়ুন: Communication Skills বা যোগাযোগ করার দক্ষতা বলতে কী বোঝায়?

 

৭। অর্ধেক কথা বলবেন না :

যখন কোনো বিষয়ে কথা বলবেন কথা সম্পূর্ণ করে বলবেন। অর্ধেক কথা বলে চুপ হয়ে যাবেন না। এতে করে অন্যরা কনফিউসড হয়ে যাবে কিংবা বিব্রত হবে। কাজও ঠিকভাবে আগাবে না। ভুল মেসেজ যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকবে।

৮। আত্মবিশ্বাস :

আত্মবিশ্বাস ছাড়া শুধু Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা বাড়ানো কেন; কোনো কাজেই বেশিদূর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব না। যেকোনো কাজে আত্মবিশ্বাস থাকা বাঞ্ছনীয়। আপনি অন্যের কথা শুনছেন এবং বুঝতে পারছেন সেটাতেও যেন আত্মবিশ্বাস প্রকাশ পায় সেই বিষয়ে সচেতন থাকুন। কারণ অন্যরা যদি একবার বুঝতে পারে আপনি তাঁদের কথা মন দিয়ে শুনছেন না তবে তাঁরাও আপনার কথা শুনবে না এবং আপনাকে সেইভাবে গুরুত্ব দিবে না। আত্মবিশ্বাস আপনাকে অন্যদের থেকে বেশ এগিয়ে রাখবে।

Communication skill বা যোগাযোগ করার দক্ষতা বাড়িয়ে নিজের স্বপ্নের দিকে এগিয়ে যান।

আপনার জন্য শুভকামনা।

আর্টিকেলটি লিখেছেন ফারজানা আক্তার

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *