কোমা ও প্যারালাইসিসের মধ্যে পার্থক্য কী?

কোমা

কোমা এবং প্যারালাইসিসের মধ্যকার পার্থ্যক অনেকে গুলিয়ে ফেলেন। এই দুটি বিষয় নিয়ে যাঁদের মধ্যে কনফিউশন তৈরী হয় এই পোস্টের মাধ্যমে তাঁদের সেই কনফিউশন দূর করার চেষ্টা করবো।

কোমা হচ্ছে অচেতনতার এমন একটি গভীর অবস্থা যেখানে সেই কোমায় থাকা ব্যক্তিকে জাগ্রত করা সম্ভব নয়। কোমায় থাকা ব্যক্তি অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন না। তিনি কোন আলো কিংবা শব্দের পরিপ্রেক্ষিতে কোন প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করতে পারেন না। এবং নিজের ইচ্ছে অনুযায়ী কোন মত প্রকাশ কিংবা কাজ করতে পারেন না।

প্যারালাইসিস হলো শরীরের কিছু কিংবা সমস্ত অঙ্গের সাময়িক বা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া। এটা মূলত হয়ে থাকে মস্তিষ্ক এবং শরীরের পেশীসমূহের মধ্যকার সংকেত প্রেরণ পদ্ধতির আদান – প্রদানের সমস্যাজনিত কারণে। প্যারালাইসিসে আক্রান্ত ব্যক্তি অবশ অঙ্গ ছাড়া বাদবাকী সকল কিছুর প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন।

আরেকটু ক্লিয়ার করে যদি বলি,

১। কোমায় পুরো শরীর অচেতন অবস্থায় থাকে। কোনো ধরণের অনুভূতি কিংবা উদ্দীপনা থাকে না। অন্যদিকে, প্যারালাইসিসে শরীরের কোন নিদিষ্ট অঙ্গবিশেষ অচেতন থাকে।

আরো পড়ুন : সাইকোলজিস্ট আর সাইক্রিয়াটিস্ট-এর মধ্যে পার্থক্য কী?

২। কোমায় ঘুমিয়ে পড়া কিংবা ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়া এই বিষয়গুলো থাকে না। কিন্তু, প্যারালাইসিসে এই বিষয়গুলো থাকে।

৩। কোমায় ব্যক্তি তার ইচ্ছে অনুযায়ী কোনো ধরণের প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারেন না। কিন্তু, প্যারালাইসিসে অচেতন অঙ্গ বাদ দিয়ে বাকি অঙ্গগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখতে পারেন।

তবে, যদি কোন রোগীর মস্তিষ্কসহ পুরো শরীর প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হয় তখন পুরো শরীর অচেতন হয়ে পড়ে। সেই অবস্থায় কোমা এবং প্যারালাইসিসের মধ্যে কোনো পার্থ্যক থাকে না।

আশা করছি সবাই এবার কোমা ও প্যারালাইসিসের মধ্যকার পার্থ্যক বুঝতে পেরেছেন।

সকলের সুস্থতা কামনা করছি। ধন্যবাদ সবাইকে।

আর্টিকেলটি লিখেছেন ফারজানা আক্তার।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *