সাইকোলজিস্ট আর সাইক্রিয়াটিস্ট-এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো তাঁদের চিকিৎসা পদ্ধতি। একজন সাইকিয়াট্রিস্ট ওষুধের ব্যবস্থাপত্র দিতে পারেন, কিন্তু একজন সাইকোলজিস্ট সেটা দিতে পারেন না।
একজন সাইকোলজিস্ট কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে তাঁর পেশেন্টকে মানসিক সমস্যা থেকে বের হতে সহায়তা করেন। কখনো কখনো তিনি ভেষধ ওষুধের সাহায্যও নিয়ে থাকেন। একজন সাইকোলজিস্ট তাঁর পেশেন্টের সুস্থতার জন্য ওষুধের উপর তেমনভাবে নির্ভর করেন না।
তিনি শারীরিক এবং মানসিক ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশেন্টকে সুস্থ করে তুলেন। এতে অবশ্য সময় বেশি লাগে। কোনো পেশেন্টের যদি ইমার্জেন্সি সহায়তা লাগে তবে তখন তাঁকে সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে রেফার করা হয়, কারণ একজন সাইকিয়াট্রিস্ট পরীক্ষা – নিরীক্ষা করে রোগীকে ওষুধ প্রদান করে থাকেন। ওষুধ সেবনের ফলে পেশেন্ট দ্রুত সুস্থতার দিকে এগিয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হতে পারে তবে কেন আমরা সাইকোলজিস্টের কাছে যাবো? দ্রুত সুস্থ হতে আমরা সাইকিয়াট্রিস্টের কাছে যেতে পারি।
আরো পড়ুন : সম্পর্কে স্যরি বলা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
শারীরিক অসুস্থতা থেকে মানসিক অসুস্থতা অনেকটাই আলাদা। আপনি যদি ওষুধ খেয়ে মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে চান তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য সুস্থ হবেন। দীর্ঘমেয়াদি ভালো ফলাফল পাওয়ার সম্ভবনা কম। আপনি যদি কিছুটা সময় নিয়ে সাইকোলজিস্টের কাছ থেকে কাউন্সেলিং নিয়ে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেন, তবে সেটা বেশ ভালো ফলাফল দিবে। আপনি নিজে নিজেকে ভালোভাবে বুঝতে পারবেন, আপনার নিজের ভালো এবং মন্দ লাগার অনুভুতিগুলোর খেয়াল নিজেই রাখতে পারবেন। আপনার ভালো থাকা এবং মন্দ থাকার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতে চলে আসবে।
আরেকটি কথা, একজন সাইকিয়াট্রিস্ট নির্দিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রিধারী হয়ে থাকেন। অপরদিকে, একজন সাইকোলজিস্ট অবশ্যই পিএইচডি ডিগ্রিধারী হয়ে থাকেন।
আশা করছি সাইকোলজিস্ট এবং সাইকিয়াট্রিস্টের মধ্যে পার্থক্য এখন অনেকটা ক্লিয়ার।