মোটিভেশনাল বাণী বা মোটিভেশনাল উক্তি জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। সবাই সফল হতে চায়। কিন্তু কেউ হয় আবার কেউ হতে পারে না। এর মূল কারণ হলো সঠিক দিক নির্দেশণা। অনেকে অনেক ভালো করেও সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে পিছিয়ে যায়। আবার অনেকে কাজের মধ্যেই হতাশ হয়ে পড়ে। সুতরাং এ সময় তাদের জন্য অনুপ্রেরণা দরকার হয়। মোটিভেশনাল বাণী (Bengali Motivational Quotes) বা মোটিভেশনাল উক্তি কিন্তু সেই অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
এই পোস্টে আপনাদের জন্য থাকছে সেরা Bangla Motivational Quotes:
১। দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন।

২। অনুকরণ নয়, অনুসরণ নয়, নিজেকে খুঁজুন, নিজেকে জানুন, নিজের পথে চলুন॥

৩। দায়িত্ব নিতে ভয় পাবেন না। তাহলেই নতুন কিছু শিখতে পারবেন।

৪। যাহা তুমি দেখাও, তার চেয়ে বেশি তোমার থাকা উচিত। যা তুমি জান, তার তুলনায় কম কথা বলা উচিত।

৫। ভাগ্য বলে কিছুই নেই, প্রত্যেকের চেষ্টা ও যত্নের উপর তা গড়ে উঠে॥

৬। সুযোগের সাথে জড়িত ঝুঁকি গ্রহনে সাহসী হোন।

৭। দীর্ঘসূত্রিতা ও আলস্যকে প্রশ্রয় দেবেন না। যখন যা করা প্রয়োজন, তখনই তা করুন।

৮। একজন জ্ঞানী জানেন যে তিনি কী জানেন না। আর একজন মূর্খ নিজেকে সবসময় সবজান্তা মনে করে।

৯। আমরা খ্যাতিমান হতে চাই। কিন্তু খ্যাতির জন্যে নীরব সাধনা ও প্রয়োজনীয় কষ্ট স্বীকার করি না। ফলে সাধনাও হয় না, খ্যাতির শীর্ষেও পৌঁছতে পারি না।

১০। যে সব দৃশ আমরা খুব মন লাগিয়ে দেখতে চাই সে সব দৃশ্য কখনো ভালভাবে দেখতে পারি না সেই সব দৃশ্য অতি দ্রুত চোখের সামনে দিয়ে চলে যায়॥

১১। পতন অনেক ক্ষেত্রে সত্যকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।

১২। ‘আমি এ বিষয়ে জানি না’ এ কথাটি বলতে কখনও ভয় পাবেন না।

১৩। ‘সমস্যা’ শব্দটির পরিবর্তে ‘সম্ভাবনা’ শব্দটি বেশি ব্যবহার করুন।

১৪। যে সহজ সরল জীবনযাপন করে সুখ তার জন্য অত্যন্ত সুলভ্য॥

১৫। শৃঙ্খলা জীবনকে সমৃদ্ধ করে। লোহা ও চুম্বকের রাসায়নিক উপাদান এক হলেও সুশৃঙ্খল আণবিক বিন্যাসের কারণে চুম্বকের রয়েছে আকর্ষণী শক্তি যা লোহার নেই।

১৬। নীরব মুহূর্তে প্রতিদিন অন্তত একবার করে বলুন, ‘আমি সাহসী’।

১৭। পুরুষের লক্ষ্য রাখা উচিত যত দিন বেশী তারা অবিবাহিত জীবনযাত্রা করতে পারে॥

১৮। ব্যর্থরা অবচেতনভাবে ব্যর্থতার সঙ্গে নিজেদের সংযুক্ত করে। সচেতনভাবে সাফল্যের সঙ্গে একাত্ম হলে সাফল্যই আপনার দিকে আকৃষ্ট হবে।

১৯। একটি কাজ না করার পেছনে হাজারটি অজুহাত দেখানো যায়, কিন্তু কাজটি করার জন্যে একটি কারণই যথেষ্ট।
২০। সহপাঠী বা প্রতিবেশীর সঙ্গে সুসম্পর্ক আর বন্ধুত্ব এক নয়। চেতনা ও আদর্শের মিল রয়েছে এমন কারো সঙ্গেই বন্ধুত্ব হতে পারে।

২১। যে সহজ সরল জীবনযাপন করে সুখ তার জন্য অত্যন্ত সুলভ্য॥

২২। সব সমস্যার প্রতিকারই হচ্ছে ধৈর্য সব সমস্যার প্রতিকারই হচ্ছে ধৈর্য্য।

২৩। সৎ পরামর্শের চেয়ে কোনো উপহার অধিক মূল্য নয়।

২৪। দুঃখ-কষ্ট নিয়েই মানুষের জীবন, কিন্তু দুঃখের পর সুখ আসবে, এটাই ধ্রুব সত্য।

২৫। জীবনে ব্যর্থতার প্রধান দুটি কারণ হচ্ছে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যের অভাব।

২৬। আপনার সময় নেই – এ অজুহাত গ্রহনযোগ্য নয়। কারণ সময় কোন কাজে ব্যয় করবেন তা নির্ধারণের অধিকার আপনার রয়েছে।

২৭। জীবন বিচিত্রময় আর অভাবনীয়, কখন কি হবে জীবনে কেউ জানে না. এই চলার পথটা সমতল না, উঁচু নিচু আছে পদে পদে, তাই জীবন পথে আপনাকে পথনির্দেশ করবে এই অমূল্য কিছু বাণী,

২৮। যে কোন ঘটনাকে সহজ ভাবে গ্রহন করাই হচ্ছে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি।

২৯। যা করতে পারবেন না বা করবেন না, সে ব্যাপারে বিনয়ের সাথে প্রথমেই ‘না’ বলুন।

৩০। সেই সত্যিকারের মানুষ যে অন্যের দোষত্রুটি নিজেকে দিয়ে বিবেচনা করতে পারে।

৩১। সব সমস্যার প্রতিকারই হচ্ছে ধৈর্য্য।

৩২। পরিপূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে কুঁড়ে ঘরে থাকাও ভালো, অতৃপ্তি নিয়ে বিরাট অট্টালিকায় থাকার কোন সার্থকতা নেই॥

৩৩। সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো না হয় মরে যাও॥

৩৪। কাউকে অভিনন্দন জানানোর সুযোগ পেলে আন্তরিকভাবে জানান।

৩৫। ভালোবাসার জন্য যার পতন হয় সে বিধাতার কাছে আকাশের তারার মত উজ্জ্বল॥

৩৬। মানুষ যত গোপন পাপ করুক না কেন, তার শাস্থি সে প্রকাশ্যেই পায়।

৩৭। রাগান্বিত অবস্থায় কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না।

৩৮। স্থান-কাল-পাত্র বুঝে হাসিমুখে কথা বলুন। হৃদয়ের আন্তরিকতা মুখের হাসিতে শতগুনে প্রস্ফুটিত হয়।

৩৯। যদি তুমি কখনো অপমানিত বোধ কর তবে অপরকে সেটা বুঝতে দেবে না॥

৪০। সাহসী ও ঝুঁকি গ্রহনে উৎসাহী হোন। সুযোগ হাতছাড়া করবেন না। পেছনের দিকে তাকালে দেখবেন, কাজ করে অনুতপ্ত হওয়ার চেয়ে যে।

৪১। সুযোগ আপনি হাতছাড়া করেছেন, তা নিয়েই অনুতপ্ত হচ্ছেন বেশি।

৪২। প্রস্তুতি ছাড়া যাত্রা পথের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। স্বপ্ন ও বিশ্বাস পথ চলার সে প্রস্তুতিরই সূচনা করে।

৪৩। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ, কোনো মানুষের মঙ্গল আনতে পারে না।

৪৪। কান পেতে থাকুন। সুযোগ অনেক সময়ই দরজায় খুব আস্তে করে টোকা দেয়।

৪৫। প্রতিটি কাজ করার আগে অন্তত একবার নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কাজটি আপনি কেন করবেন।

৪৬। সময় বেশি লাগলেও ধৈর্য সহকারে কাজ কর, তাহলেই প্রতিষ্ঠা পাবে॥

৪৭। প্রয়োজনের অতিরিক্ত অর্থ, কোনো মানুষের মঙ্গল আনতে পারে না।

৪৮। হেসে কথা বলুন। এতে আপনি শুধু নিজেই আনন্দিত হবেন না, অন্যরাও খুশি হবে।

৪৯। নিজের কাছে নিজ সততা বজায় রাখুন। প্রতিটি কাজে আপনার পক্ষে যা করা সম্ভব, আন্তরিকতার সঙ্গে করুন।

৫০। জীবনের প্রতি ক্ষেত্রে কি পেলাম সেটাই বড় প্রশ্ন নয়, বরং কি করেছি সেটাই বড় প্রশ্ন।

৫১। আগুন দিয়ে যেমন লোহা চেনা যায় তেমনি মেধা দিয়ে মানুষ চেনা যায়॥

৫২। জগতের সবচেয়ে সুন্দর জিনিসগুলি এবং মুল্যবান জিনিসগুলি সবচেয়ে অকেজো।

৫৩। বুদ্ধিমান সবসময় কথা বা কাজের আগে চিন্তা করে। আর বোকারা চিন্তা করে (পস্তায়) কাজের পরে।

৫৪। অসৎ ব্যক্তি সৎ ব্যক্তির কাজের মধ্যে কোন মহৎ উদ্দেশ্য খুঁজে পায় না॥

৫৫। নিরাময়ের জন্য প্রয়োজন এক প্রশান্ত মন। আপনার মন ভালো তো সব ভালো।

৫৬। কাজ শেষ না হতে পারিশ্রমিক শোধ করবেন না।

৫৭। আমি চলে গেলে যদি কেউ না কাঁদে তবে আমার অস্তিত্বের কোন মূল্য নেই॥

৫৮। যৌবন যার সৎ, সুন্দর ও কর্মময় তার বৃদ্ধ বয়সকে স্বর্ণযুগ বলা হয়॥

৫৯। যদি সর্বোচ্চ আসন পেতে চাও, তাহলে নিম্নস্থান থেকে আরম্ভ কর।

৬০। তিনিই প্রকৃত সুখি, যিনি প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আশা করে না।

৬১। কোনো ঘটনার প্রেক্ষিতে সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন না। একটু থামুন। লম্বা দম নিন। মনকে জিজ্ঞেস করুন,এ মুহূর্তে আমার কি করণীয়?

৬২। যে কোন সঙ্কটকে বিপদ না ভেবে নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন।

৬৩। জ্ঞানের ন্যায় পবিত্র বস্তু জগতে আর কিছুই নেই॥

৬৪। প্রতিদিন আমাদের এমনভাবে কাটানো উচিত, যেন আজ জীবনের শেষ দিন।

৬৫। প্রতিটি কাজ শুরু হয় শুন্য থেকে। ধাপে ধাপে তা পুর্ণতা পায়।

৬৬। আত্মকেন্দ্রিকতা ও ‘আমারটা আগে’ এ দৃষ্টিভঙ্গি জীবনকে এক ক্লান্তিকর বোঝায় পরিণত করে। আর বিনয়, সহানুভূতি ও উপকার যত ক্ষুদ্রই হোক জীবনকে প্রাণবন্ত ও হাস্যোজ্জ্বল করে তোলে।

৬৭। সেই যথার্থ মানুষ যে জীবনের পরিবর্তন দেখেছে এবং পরিবর্তনের সাথে নিজেও পরিবর্তিত হয়েছে॥

৬৮। পূর্ণ অর্জন অপেক্ষায়, পাপ বর্জন করা শ্রেষঠতর।

৬৯। দুঃখবিলাস বা কোন কিছুই ভালো না লাগা আলস্যের একটি রূপ। যারা কিছু করে না,তাদেরই আসলে কিছুই ভালো লাগে না। আর যারা ব্যস্ত তাদের কিছু ভালো না লাগার কোনো সুযোগ থাকে না।

৭০। নিয়ত বা অভিপ্রায় হচ্ছে মনের লাগাম। নিয়ত মনকে নিয়ন্ত্রন করে, দেহকে সঠিক পথে পরিচালিত করে, দেহ-মনে নতুন বাস্তবতার জন্ম দেয়।

৭১। আপনি যদি গরীব হয়ে জন্ম নেন তাহলে এটা আপনার দোষ নয়, কিন্তু যদি গরীব থেকেই মারা যান তবে সেটা আপনার দোষ॥

৭২। নদীতে স্রোত আছে, তাই নদী বেগ বান। জীবনে দন্দ্ব আছে তাই জীবন বৈচিত্রময়।

৭৩। শোষিতরা শোষিতের হাতেই সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত হয়। যে কখনো সম্মান পায় নি সে জানে না অন্যকে কিভাবে সম্মান করতে হয়।

৭৪। অসৎ লোক কাউকে সৎ মনে করে না, সকলকেই সে নিজের মত ভাবে।

৭৫। সে ব্যক্তি মুমিন নয় যে নিজে তৃপ্তি সহকারে আহার করে, অথচ তার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে॥

৭৬। টাকার বিনিময়ে শিক্ষা অর্জনের চেয়ে অশিক্ষিত থাকা ভাল॥

৭৭। কর্মস্থলে প্রতিযোগীকে সবসময় শ্রদ্ধা করুন। শক্তিশালী প্রতিযোগী আপনার মেধার সর্বোত্তম বিকাশে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।

৭৮। হ্যাঁ এবং না কথা দুটো সবচেয়ে পুরনো এবং সবচেয়ে ছোট। কিন্তু এ কথা দুটো বলতেই সবচেয়ে বেশি ভাবতে হয়॥

৭৯। নতুন দিনই নতুন চাহিদা ও নতুন দৃষ্টিভঙ্গির জন্ম দেয়॥

৮০। চিন্তা কর বেশি, বল অল্প এবং লেখ তার চেয়েও কম॥

৮১। যেখানে পরিশ্রম নেই সেখানে সাফল্যও নেই॥

৮২। সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে চেনা এবং সবচেয়ে সহজ কাজ হচ্ছে অন্যদেরকে উপদেশ দেয়া॥

৮৩। যে নিজেকে দমন করতে পারে না সে নিজের জন্যেও বিপদজনক এবং অন্য সবার জন্যেও॥

৮৪। সফলতা সুখের চাবিকাঠি নয় বরং সুখ হল সফলতার চাবিকাঠি। আপনার কাজকে যদি আপনি মনে প্রানে ভালবাসতে পারেন অর্থাৎ যদি আপনি নিজের কাজ নিয়ে সুখী হন তবে আপনি অবশ্যই সফল হবেন॥

৮৫। আমি বলবনা আমি ১০০০ বার হেরেছি, আমি বলবো যে আমি হারার ১০০০ টি কারণ বের করেছি॥

৮৬। যারা আমাকে সাহায্য করতে মানা করে দিয়েছিল আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কারন তাদের না এর জন্যই আজ আমি নিজের কাজ নিজে করতে শিখেছি॥
